জি.আই. পণ্য বিডি
EN

মসলিন

জি.আই. পণ্য বিডি

মসলিন
  • মসলিন_img_0
  • মসলিন_img_1

মসলিন

Out of stock
10,000 BDT
1
No more items remaining!

মসলিন একটি সূক্ষ্ম বুননের সুতি কাপড়, যা সাধারণত হালকা ওজনের এবং বিভিন্ন ধরনের ভারী কাপড়ের মধ্যে পাওয়া যায়। এটির নাম 'মসলিন' সম্ভবত ইরাকের মসুল শহর থেকে এসেছে, যেখানে এই কাপড় প্রথম তৈরি ও বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি হয়েছিল।​


🧵 মসলিনের উৎপত্তি ও ইতিহাস

মসলিনের উৎপত্তি প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশে, বিশেষ করে বাংলায়। ১৭শ ও ১৮শ শতাব্দীতে, ঢাকার সোনারগাঁও অঞ্চল ছিল মসলিন উৎপাদনের কেন্দ্রবিন্দু। এ সময়ে ঢাকার মসলিন বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করে এবং ইউরোপীয় রাজপরিবারের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ইংরেজ পর্যটক রালফ ফিচ ১৫৮৩ সালে সোনারগাঁওয়ের মসলিনের প্রশংসা করেছিলেন, যা 'ভারতের সেরা কাপড়' হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন ।​


🌟 ঢাকার মসলিনের বৈশিষ্ট্য

উৎপাদন প্রক্রিয়া: মসলিন তৈরি করতে প্রায় ৫ মাস সময় লাগত, কারণ এটি হাতে বোনা হত এবং সুতি সুতা অত্যন্ত সূক্ষ্ম ও নরম হতে হত।


ধরন ও গুণ: ঢাকার মসলিন ছিল এত সূক্ষ্ম যে, এটি কাঁচের মতো স্বচ্ছ ছিল।


বাণিজ্যিক গুরুত্ব: ঢাকা ছিল মসলিন বাণিজ্যের কেন্দ্র, যেখানে ইউরোপীয় বণিকরা এই কাপড় সংগ্রহ করে তাদের দেশে রপ্তানি করতেন ।​


🏛️ মসলিনের সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব

ঢাকার মসলিন শুধু একটি কাপড় নয়, এটি বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ। ১৮শ শতাব্দীতে, ইউরোপে ঢাকার মসলিন এত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে যে, এটি প্রায় নগ্নতার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হতে শুরু করে ।​


🧵 মসলিনের পুনর্জাগরণ

২০শ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে, ঔপনিবেশিক শাসন ও শিল্পায়নের কারণে ঢাকার মসলিন উৎপাদন প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যায়। তবে, ২১শ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকে বাংলাদেশে মসলিন বুননের পুনর্জাগরণ ঘটেছে। ২০২০ সালে ঢাকার মসলিনকে বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (GI) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয় ।​