আগার
মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলা বাংলাদেশের আগর ও আতর উৎপাদনের জন্য সুপরিচিত, যা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃতি অর্জন করেছে। এই দুটি পণ্যকে স্থানীয়ভাবে "সাদা সোনা" বলা হয়, যা এই অঞ্চলের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।🏭 আগর ও আতর শিল্পবড়লেখা উপজেলায় প্রায় ৩৫০-৪০০টি আগর আতর কারখানা রয়েছে, যেগুলো প্রতি বছর প্রায় ২০০০ লিটার আতর উৎপাদন করে । এই আতর মূলত মধ্যপ্রাচ্য ও পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়, যা স্থানীয় অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে।🌿 আগর-আগার: উপাদান ও উৎসআগর-আগার একটি জেলির মতো পদার্থ, যা মূলত লাল শৈবাল থেকে প্রাপ্ত পলিস্যাকারাইড দ্বারা গঠিত। এটি প্রধানত "ওগোনোরি" (Gracilaria) এবং "তেনগুসা" (Gelidiaceae) নামক লাল শৈবাল থেকে সংগ্রহ করা হয় । প্রাকৃতিকভাবে, আগর-আগার দুটি প্রধান উপাদানে গঠিত: আগারোজ এবং আগারোপেকটিন। আগারোজ আগরের উচ্চ শক্তির জেলি গঠনের জন্য দায়ী, যেখানে আগারোপেকটিন এর সান্দ্রতা প্রদান করে ।🌍 আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিবড়লেখার আগর ও আতর পণ্যগুলি ভূ-ভৌগোলিক নির্দেশক (GI) স্বীকৃতি পেয়েছে, যা এই অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী সুগন্ধি শিল্পের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক । এই স্বীকৃতি আন্তর্জাতিক বাজারে বড়লেখার আগর ও আতরের মান ও খ্যাতি বৃদ্ধি করেছে।বড়লেখা উপজেলার আগর ও আতর শিল্প স্থানীয় জনগণের জীবিকায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং বাংলাদেশের সুগন্ধি শিল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়।
জি.আই. পণ্য বিডি
All products

Details:
- Warranty0
মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলা বাংলাদেশের আগর ও আতর উৎপাদনের জন্য সুপরিচিত, যা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃতি অর্জন করেছে। এই দুটি পণ্যকে স্থানীয়ভাবে "সাদা সোনা" বলা হয়, যা এই অঞ্চলের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
🏭 আগর ও আতর শিল্প
বড়লেখা উপজেলায় প্রায় ৩৫০-৪০০টি আগর আতর কারখানা রয়েছে, যেগুলো প্রতি বছর প্রায় ২০০০ লিটার আতর উৎপাদন করে । এই আতর মূলত মধ্যপ্রাচ্য ও পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়, যা স্থানীয় অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে।
🌿 আগর-আগার: উপাদান ও উৎস
আগর-আগার একটি জেলির মতো পদার্থ, যা মূলত লাল শৈবাল থেকে প্রাপ্ত পলিস্যাকারাইড দ্বারা গঠিত। এটি প্রধানত "ওগোনোরি" (Gracilaria) এবং "তেনগুসা" (Gelidiaceae) নামক লাল শৈবাল থেকে সংগ্রহ করা হয় । প্রাকৃতিকভাবে, আগর-আগার দুটি প্রধান উপাদানে গঠিত: আগারোজ এবং আগারোপেকটিন। আগারোজ আগরের উচ্চ শক্তির জেলি গঠনের জন্য দায়ী, যেখানে আগারোপেকটিন এর সান্দ্রতা প্রদান করে ।
🌍 আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি
বড়লেখার আগর ও আতর পণ্যগুলি ভূ-ভৌগোলিক নির্দেশক (GI) স্বীকৃতি পেয়েছে, যা এই অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী সুগন্ধি শিল্পের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক । এই স্বীকৃতি আন্তর্জাতিক বাজারে বড়লেখার আগর ও আতরের মান ও খ্যাতি বৃদ্ধি করেছে।
বড়লেখা উপজেলার আগর ও আতর শিল্প স্থানীয় জনগণের জীবিকায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং বাংলাদেশের সুগন্ধি শিল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়।
আগার
Out of stockDetails:
- Warranty0
মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলা বাংলাদেশের আগর ও আতর উৎপাদনের জন্য সুপরিচিত, যা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃতি অর্জন করেছে। এই দুটি পণ্যকে স্থানীয়ভাবে "সাদা সোনা" বলা হয়, যা এই অঞ্চলের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
🏭 আগর ও আতর শিল্প
বড়লেখা উপজেলায় প্রায় ৩৫০-৪০০টি আগর আতর কারখানা রয়েছে, যেগুলো প্রতি বছর প্রায় ২০০০ লিটার আতর উৎপাদন করে । এই আতর মূলত মধ্যপ্রাচ্য ও পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়, যা স্থানীয় অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে।
🌿 আগর-আগার: উপাদান ও উৎস
আগর-আগার একটি জেলির মতো পদার্থ, যা মূলত লাল শৈবাল থেকে প্রাপ্ত পলিস্যাকারাইড দ্বারা গঠিত। এটি প্রধানত "ওগোনোরি" (Gracilaria) এবং "তেনগুসা" (Gelidiaceae) নামক লাল শৈবাল থেকে সংগ্রহ করা হয় । প্রাকৃতিকভাবে, আগর-আগার দুটি প্রধান উপাদানে গঠিত: আগারোজ এবং আগারোপেকটিন। আগারোজ আগরের উচ্চ শক্তির জেলি গঠনের জন্য দায়ী, যেখানে আগারোপেকটিন এর সান্দ্রতা প্রদান করে ।
🌍 আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি
বড়লেখার আগর ও আতর পণ্যগুলি ভূ-ভৌগোলিক নির্দেশক (GI) স্বীকৃতি পেয়েছে, যা এই অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী সুগন্ধি শিল্পের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক । এই স্বীকৃতি আন্তর্জাতিক বাজারে বড়লেখার আগর ও আতরের মান ও খ্যাতি বৃদ্ধি করেছে।
বড়লেখা উপজেলার আগর ও আতর শিল্প স্থানীয় জনগণের জীবিকায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং বাংলাদেশের সুগন্ধি শিল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়।