🏛️ উৎপত্তি ও ইতিহাস

রসমালাইয়ের উৎপত্তি নিয়ে বিভিন্ন মত রয়েছে। অনেকের মতে, এটি প্রথম তৈরি হয়েছিল কুমিল্লার সেন ভাইদের দ্বারা, যারা "মাতৃ ভাণ্ডার" নামে একটি মিষ্টির দোকান চালু করেন। তারা দাবি করেন যে, তারা রসমালাইয়ের মূল উদ্ভাবক এবং এই মিষ্টিকে বাণিজ্যিকভাবে জনপ্রিয় করেন । অন্যদিকে, কলকাতার কেঃসি দাস পরিবারও রসমালাইয়ের উদ্ভাবক হিসেবে দাবি করে ।​

🧁 প্রস্তুত প্রণালী

রসমালাই তৈরির জন্য প্রথমে দুধ ফুটিয়ে তাতে লেবুর রস বা ভিনেগার যোগ করে ছানা তৈরি করা হয়। এই ছানা থেকে ছোট ছোট বল তৈরি করে সেগুলো চিনি ও পানি মিশ্রণে সিদ্ধ করা হয়। পরে এই বলগুলো ঘন দুধে, যা মালাই নামে পরিচিত, ডুবিয়ে রাখা হয়। এই মালাইয়ে সাধারণত এলাচ, জাফরান ও পেস্তা বাদাম যোগ করা হয়, যা মিষ্টির স্বাদ ও ঘ্রাণ বৃদ্ধি করে ।​

🌍 সাংস্কৃতিক গুরুত্ব

কুমিল্লার রসমালাই বাংলাদেশের বিভিন্ন উৎসব ও অনুষ্ঠানে বিশেষ স্থান অধিকার করে। ঈদ, পূজা, নববর্ষসহ বিভিন্ন পারিবারিক ও সামাজিক অনুষ্ঠানে এই মিষ্টি পরিবেশন করা হয়। পোড়াবাড়ির চমচমের খ্যাতি দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও পৌঁছেছে।​

🛍️ প্রাপ্তিস্থান

বর্তমানে কুমিল্লার মাতৃ ভাণ্ডারসহ বিভিন্ন মিষ্টির দোকানে রসমালাই পাওয়া যায়। এছাড়াও, বাংলাদেশের বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এই মিষ্টি অর্ডার করা যায়।