নকশি কাঁথা
পণ্যের ধরণ: হাতে সেলাই করা আকার: ৮৫" x ৯৫" পরিমাপ: ৭ ফুট x ৭.৫ ফুট কাপড়: ১০০% সুতি ভিতরের: ৩ স্তর ধোয়া: হাত ধোয়া
জি.আই. পণ্য বিডি
All products

Details:
- Warranty0
নকশিকাঁথা – বাংলার শতবর্ষ পুরনো ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্প
নকশিকাঁথা (Nakshi Kantha) হলো বাংলার একটি শতবর্ষ প্রাচীন হস্তশিল্প ও কাঁথা সেলাই শিল্প, যা বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের এক অনন্য নিদর্শন। এটি মূলত পুরনো কাপড় ও সুতার সাহায্যে তৈরি এক ধরনের কারুকাজযুক্ত কাঁথা, যা যুগ যুগ ধরে গ্রামীণ নারীশিল্পীদের হাতে তৈরি হয়ে আসছে।
যদিও নকশিকাঁথা সারা বাংলাদেশেই তৈরি হয়, তবে ময়মনসিংহ, জামালপুর, বগুড়া, রাজশাহী, ফরিদপুর, যশোর ও চট্টগ্রাম অঞ্চল এই শিল্পে বিশেষভাবে প্রসিদ্ধ। কাঁথার উপর সেলাই করে তৈরি করা নানান বর্ণিল নকশা ও ডিজাইন থেকেই “নকশিকাঁথা” নামটির উৎপত্তি, যেখানে “নকশা” শব্দের অর্থ হলো কারুকাজ বা শিল্পরূপ।
প্রথম দিককার নকশিকাঁথা ছিল সাদা পটভূমিতে লাল, নীল ও কালো রঙের সূচিকর্মে সজ্জিত। পরবর্তীতে হলুদ, সবুজ, গোলাপি এবং অন্যান্য রঙও যুক্ত হয়। এ শিল্পে ব্যবহৃত প্রধান সেলাই হলো “কাঁথা সেলাই” (kantha stitch), যা কাঁথার সৌন্দর্য এবং টেকসইত্ব বৃদ্ধি করে।
এক সময় নকশিকাঁথা শুধুমাত্র পারিবারিক ব্যবহার এর জন্য তৈরি করা হতো। তবে বর্তমানে এই ঐতিহ্যবাহী শিল্পের পুনর্জাগরণ ঘটেছে, এবং নকশিকাঁথা বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত ও রপ্তানি হচ্ছে, যা বাংলাদেশের হস্তশিল্প খাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানিযোগ্য পণ্য হিসেবে বিবেচিত।
নকশি কাঁথা
Out of stockDetails:
- Warranty0
নকশিকাঁথা – বাংলার শতবর্ষ পুরনো ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্প
নকশিকাঁথা (Nakshi Kantha) হলো বাংলার একটি শতবর্ষ প্রাচীন হস্তশিল্প ও কাঁথা সেলাই শিল্প, যা বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের এক অনন্য নিদর্শন। এটি মূলত পুরনো কাপড় ও সুতার সাহায্যে তৈরি এক ধরনের কারুকাজযুক্ত কাঁথা, যা যুগ যুগ ধরে গ্রামীণ নারীশিল্পীদের হাতে তৈরি হয়ে আসছে।
যদিও নকশিকাঁথা সারা বাংলাদেশেই তৈরি হয়, তবে ময়মনসিংহ, জামালপুর, বগুড়া, রাজশাহী, ফরিদপুর, যশোর ও চট্টগ্রাম অঞ্চল এই শিল্পে বিশেষভাবে প্রসিদ্ধ। কাঁথার উপর সেলাই করে তৈরি করা নানান বর্ণিল নকশা ও ডিজাইন থেকেই “নকশিকাঁথা” নামটির উৎপত্তি, যেখানে “নকশা” শব্দের অর্থ হলো কারুকাজ বা শিল্পরূপ।
প্রথম দিককার নকশিকাঁথা ছিল সাদা পটভূমিতে লাল, নীল ও কালো রঙের সূচিকর্মে সজ্জিত। পরবর্তীতে হলুদ, সবুজ, গোলাপি এবং অন্যান্য রঙও যুক্ত হয়। এ শিল্পে ব্যবহৃত প্রধান সেলাই হলো “কাঁথা সেলাই” (kantha stitch), যা কাঁথার সৌন্দর্য এবং টেকসইত্ব বৃদ্ধি করে।
এক সময় নকশিকাঁথা শুধুমাত্র পারিবারিক ব্যবহার এর জন্য তৈরি করা হতো। তবে বর্তমানে এই ঐতিহ্যবাহী শিল্পের পুনর্জাগরণ ঘটেছে, এবং নকশিকাঁথা বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত ও রপ্তানি হচ্ছে, যা বাংলাদেশের হস্তশিল্প খাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানিযোগ্য পণ্য হিসেবে বিবেচিত।